ইমাম খাইর, সিবিএন:
সারাদেশের জন্য কক্সবাজার হলো বাগদা চিংড়ির সুতিকাগার। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার একর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়। আরো অন্তত ৩০ হাজার একর জমি এর বাইরে পড়ে আছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া গেলে পড়ে থাকা জমি চিংড়জোনের আওতায় এনে চাষের উপযুক্ত করে গড়ে তুলে সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে কক্সবাজারে ‘দেশের চিংড়ি শিল্প সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিত কার্যক্রম’ বিষয়ক কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি এসব কথা বলেন।
শহরের অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সরকার চাচ্ছে দেশের মৎস্যশিল্পকে এগিয়ে নিতে। সেলক্ষ্যে চিংড়ি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে। আগামীতে আরো বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব মো: রাইসুল আলম মন্ডল, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো: আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন, পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মু. আবদুল করিম, বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডের খাদ্যসচিব একে ওসমান হারুনী, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর গুলজার হোসাইন।
কর্মশালার বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছৈয়দ মাহামুদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন, চিংড়ি শিল্প হ্যাচারী পর্যায়ে উন্নত করতে না পারলে এ শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে টিকে থাকতে হলে পোনা উৎপাদনে ব্যবহৃত ক্যামিকেল, পোনা সংরক্ষণসহ সার্বিক বিষয়ে আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য ‘দেশের চিংড়ি শিল্প সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিত কার্যক্রম’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মু. সানিয়ার আলম।
মতামত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- আল্লাহওয়ালা সাইন্টিফিক শ্রিম্প হ্যাচারীর এমডি জাহাঙ্গীর কাসেম, ১০ একর চিংড়ি প্রকল্পের সভাপতি মেহেরুজ্জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মু. আবদুল আলীমসহ খামার মালিকরা।
মৎস্য আধিদপ্তর, বিএসএফএফ ও সলিডারিডাডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চিংড়ি বিশেষজ্ঞ অমিতোষ সেন, বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মু. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ড. মঈন উদ্দিন আহমদ, শ্রিম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, রেডিয়েন্ট ফিশওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী, ১০ একর চিংড়ি প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ১০ একর ১১ একর চিংড়ি স্টেটের (এডিবি) প্রকল্প ব্যবস্থাপক মু. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া জেলা মৎস্য দপ্তর ও শ্রীম্প এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা, চিংড়ি খামার ও হ্যাচারী সংশ্লিষ্ট অন্তত ১০০ লোক অংশ নেয়।